সড়ক পথে সুন্দরবন দেখা যায় এক মাত্র সাতক্ষীরায়
ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। সবুজের সমারোহ আর বনের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শণার্থী ভিড় করছেন। সড়ক পথে সুন্দরবন ভ্রমণের একমাত্র রুট সাতক্ষীরা। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে সড়ক পথে সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জ কিংবা নীলডুমুর পৌঁছালেই দেখা যায় সুন্দরবন। মুন্সিগঞ্জ কিংবা নীলডুমুর থেকে নৌকায় যাওয়া যায় কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রে। সেখান থেকে দোবেকি। লঞ্চ কিংবা ইঞ্জিনবোটে যাওয়া যায় সুন্দরবনের করমজল ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র, হারবারিয়া, কোকিলমনি, কটকা, হিরণ পয়েন্ট ও বঙ্গবন্ধুর চর, কালির চরসহ বিভিন্ন স্পটে। কলাগাছিয়ায় পৌঁছানোমাত্রই পর্যটকদের স্বাগত জানায় বানরের দল। এরপর কাঠের তৈরি ট্রেইলে হেঁটে সুন্দরবনের অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করা যায়।
মুন্সিগঞ্জ বাজার থেকে ১০০ মিটার দূরে চুনা নদীর তীরে সৌন্দর্যের অবারিত দুয়ার খুলে পর্যটকদের হাতছানি দেয় আকাশ লীনা ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র। মূলত: সেখান থেকেই সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দর্য্য উপভোগ করা যায়। জ্যোৎস্না রাতে সবুজ পাতায় শিশির বিন্দু আর নদীর জলের রূপালী ঢেউ পর্যটকদের হৃদয়ে দোলা দেয়। এখানে আড়পাঙ্গাসিয়া, কালিঞ্চি, চুনাসহ বিভিন্ন নদী দিয়ে প্রতিদিন সারি সারি ট্যুরিস্ট বোট ও লঞ্চ আসতে দেখা যায়। কলাগাছিয়া ও আকাশলীনা এলাকায় পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। দেশি পর্যটকদের পাশাপাশি বিদেশিরাও আসছেন নিয়মিত। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরছেন দর্শনীয় স্থানগুলো।সুন্দরবন সংলগ্ন বুড়িগোয়ালিনী ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতিদিন ২০-২৫টি বোট ও লঞ্চ প্রবেশ করছে। বনে পর্যটকদের আগমন আগের তুলনায় বেড়েছে। বুড়িগোয়ালিনী ঘাটে ৬০টি পর্যটন ট্রলারে শতাধিক শ্রমিক কাজ করে। প্রতি ট্রলারে ২০জন করে পর্যটক নেওয়ার জন্য বনবিভাগ নির্দেশনা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, সামরিক বেসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তারাও তাদের পরিবার নিয়ে সুন্দরবন দেখতে আসছেন। কলাগাছিয়া পশ্চিম সুন্দরবনের পর্যটকদের মূল আকর্ষণ উল্লেখ করে বুড়িগোয়ালিনী ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল বলেন, বনের মধ্যে প্রবেশ করলেই বানর ও হরিণ খুব কাছ থেকে দেখা যায়। অনেক সময় হরিণ মানুষের খুব কাছে চলে আসে। তাছাড়া সড়ক পথে সুন্দরবন ভ্রমণের একমাত্র রুট সাতক্ষীরার শ্যামনগর। সে কারণে মূলত এ এলাকা দিয়ে সুন্দরবনের কলাগাছিয়ায় বেশি প্রবেশ করেন পর্যটকরা।