বুধবার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন যেভাবে করতে হবে
বুধবার (২৫ মে, ১১ জ্যৈষ্ঠ) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩ তম জন্মবার্ষিকী। প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিম্ন-মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন করতে হবে। এ উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা অনুষ্ঠান, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন করতে হবে।
স্কুল-কলেজে দিবসটি উদযাপন করার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা আয়োজনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিকে মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দিবসটি উদযাপনের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ। প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিম্ন-মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন করতে হবে। এ উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা অনুষ্ঠান, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে হবে।জানা গেছে, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের জাতীয় কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সভায় গত ৮ মে (২৫ বৈশাখ) সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছিলো।
জাতীয় কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে গত ২০ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে জানায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। জাতীয় কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভার কার্যবিবরণীতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, ঢাকাসহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা অনুষ্ঠান, রচনা, আবৃত্তি প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী আবশ্যিকভাবে উদযাপন করবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে। এ সভার সিদ্ধান্তের আলোকেই সব স্কুল-কলেজে জাতীয় কবির জন্মদিন উদযাপনের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের আদেশে বলা হয়েছে, সভার কার্যবিবরণী মোতাবেক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা অনুষ্ঠান, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে আবশ্যিকভাবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের জন্য বলা হলো। এদিকে গত ৮ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপনের নির্দেশনার বিষয়টি কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডকে জানানো হয়। মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে অধিদপ্তরগুলোতে পাঠানো নির্দেশনায় বলেছে, কার্যবিবরণীর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে মাঠ পর্যায়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যথাযথ নির্দেশ দিতে বলা হলো।