কি ভাবে বরণ করা হবে শিরোপাজয়ীদের সে বিষয় প্রস্তুতি নিচ্ছে বাফুফে
নেপালের কাঠমান্ডুতে সোমবার ফাইনালে স্বাগতিক দলকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয় করেছে বাংলাদেশ মহিলা ফুটবলদল। নেপাল থেকে দেশে ফেরার পর শিরোপা জয়ীদের সংবর্ধনার পরিকল্পনা সাজিয়ে নিয়েছে বাফুফে। এদিকে ছাদ খোলা বাস প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। বিমানবন্দর থেকে কোন পথ ধরে বাফুফে ভবনে পৌঁছবে বিজয় মিছিল, সেটিও আপাতত চূড়ান্ত। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের যৌথ ব্যবস্থাপনায় হবে সকল আয়োজন। মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ে সভার পর বাফুফেতে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনার বিস্তারিত জানান বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। (বুধবার) দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে বাংলাদেশ দল হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে নামবে। সেখানে ক্রীড়া মন্ত্রী, সচিব ও বাফুফে কর্মকর্তারা মেয়েদের অভ্যর্থনা জানাবেন। এসব নিয়ে সিভিল এভিয়েশনের সঙ্গে বিস্তারিত কথা হয়েছে আমাদের। আমরা মেয়েদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেব, মিষ্টি মুখ করাব। তার পর হয়তো প্রেস ব্রিফিং হবে।”“এরপর ছাদ খোলা বাসে তারা আসবে। বাস কনফার্ম করা হয়েছে, ব্র্যান্ডিংয়ের কাজ চলছে। সাউন্ড সিস্টেমে ফুটবল বা ক্রীড়া বিষয়ক গানগুলি বাজবে। সেই বাসে করে আমাদের বীর ফুটবলাররা মতিঝিলে বাফুফে ভবনে আসবে। এখানে সভাপতি ফুল দিয়ে বরণ করবেন। এরপর হালকা রিফ্রেশমেন্ট, ফটোসেশন দিয়ে আপাতত সংবর্ধনা শেষ হবে।”বিমানবন্দর থেকে বিজয়ী মেয়েদের নিয়ে ছাদখোলা বাস কাকলি হয়ে, মহাখালি ফ্লাইওভার দিয়ে শহীদ জাহাঙ্গীর গেট হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে দিয়ে বিজয় সরণী হয়ে, তেজগাঁও দিয়ে মৌচাক হয়ে ফ্লাইওভার দিয়ে কাকরাইল যাবে। সেখান থেকে ফকিরেরপুল, আরামবাগ, শাপলা চত্বর হয়ে মতিঝিলে বাফুফে ভবনে পৌঁছবে বাস। ট্রাফিক ভবনের সঙ্গে কথা বলে এই পথের ব্যবস্থাপনা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান বাফুফে সাধারণ সম্পাদক। ট্রফি নিয়ে ফেরার দিনেই শেষ নয়, পরে আরও আয়োজনের ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন তিনি।“পরবর্তীতে আরও কিছু থাকলে, আরও জাঁকজমকভাবে কিছু করতে হলে তা বাফুফে সভাপতি ও কার্য নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সম্পাদন করা হবে।”